কুরআনে ‘জুমু‘আর দিনে মু’মিনদেরকে সালাতের আহ্বান, বুখারি-মুসলিমে ‘লক্ষ্যহীনভাবে!

১৩৪. কুরআনে ‘জুমু‘আর দিনে মু’মিনদেরকে সালাতের আহ্বান, বুখারি-মুসলিমে ‘লক্ষ্যহীনভাবে! 
কুরআনে দেখুন, ‘হে মু’মিনগণ! ... আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর, এ-ই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি কর (৬২:৯)। [ফজর এবং ইশার (প্রচলিত মাগরিবের) সময় নির্দিষ্ট। মু’মিনদেরকে প্রতিদিন এ-ই দুই সময় সালাত পড়তে হয়। কর্মব্যস্ত মানুষের সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে মধ্যবর্তী সালাত অর্থাৎ সালাওয়াতি ওস্তার (২:২৩৮) কথা মনে নাও থাকতে পারে, তাই মু’মিনদেরকে সালাতের জন্য মুয়াজ্জিনের (১২:৭০) আহ্বানের [(আযান (৯:৩) এর] নির্দেশ। মু’মিনদেরকে আরো বেশি শুনানোর জন্য আমরা উচ্চ স্বরে বলতে পরি (৭১:৯)-
      ১. আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান;-২:২৮৪ (দুইবার)।
      ২. আল্লাহ্ আমাদের রব (৪১:৩০) (দুইবার)।
      ৩.‘হে মু’মিনগণ! .....আল্লাহ্র স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর, এ-ই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি কর;-৬২:৯ (দুইবার)।
      ৪. আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান;-৩:২৯ (দুইবার)।
      ৫. আল্লাহ্ আমাদের রব (৪৬:১৩) (দুইবার)।
      ৬. আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই (৩৭:৩৫) (একবার)। [উপরোক্ত আযানের  (৯:৩) প্রত্যেকটি বাক্য কুরআনের যা শিরক মুক্ত এবং এ আযানে জান্নাত লাভের (৪৬:১৩) ঘোষণাও রয়েছে।]

বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘একজন মুয়াজ্জিন ঘুমন্ত ওমরকে জাগানোর জন্য ফজরের সময় বললেন, ‘সালাত ঘুম হতে উত্তম’। আর ওমর একে ফজরের আযানেই সংযোগ করতে বললেন (মেশকাত-২/৬০১)। ‘মদিনায় আযানের জন্য আলোচনা হয়, ‘কেউ বললেন, নাসারাদের ন্যায় ঘণ্টা আর কেউ বললেন, ইহুদীদের মত শিঙ্গা বানাতে। রাসূল তখন বললেন, ‘হে বেলাল! ওঠ এবং সালাতের জন্য আহ্বান কর (মেশকাত-২/৫৯৮)। ‘রাসূল ফজরের সালাতের জন্য যার নিকট দিয়ে যেতেন তার জন্য আহ্বান করতেন অথবা, নিজ পা দ্বারা তাকে নাড়া দিতেন (আবূ দাউদ))-মেশকাত-২/৬০০। ‘আগুন ও শিঙ্গার কথা উল্লেখ করলে রাসূল বেলালকে আযানের নির্দেশ দেন (মেশকাত-২/৫৯০)। ‘রাসূল আবদুল্লাহ্কে সালাতে একত্রিত হওয়ার জন্য ঘণ্টা বানানোর নির্দেশ দিলেন, ‘আব্দুল্লাহ্কে স্বপ্নে এক ব্যক্তি প্রচলিত আযান শিক্ষা দেন।’ খলিফা ওমরও অনুরূপ স্বপ্ন দেখেন (আবু দাঊদ, দারেমী ও ইবনু মাযাহ);-মেশকাত-২/৫৯৯। প্রচলিত আযান-
    ১. আল্লাহ্ বৃহত্তর (আকবার অর্থ বৃহত্তর- ৬:৭৮; ১৭:২১; ৩৯:২৬; ৪০:৫৭); ৪ বার।
    ২. আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; ২ বার।
    ৩. আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল; ২ বার।
    ৪. আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; ২ বার।
    ৫. আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল; ২ বার।
    ৬. প্রার্থনার জন্য আসুন; ২ বার।
    ৭.  সৌভাগ্যের জন্য আসুন; ২ বার।
    ৮.  (ফজরের সালাতে) প্রার্থনা ঘুম হতে উত্তম; ২ বার।
    ৯. আল্লাহ্ বৃহত্তর; ২ বার।
    ১০. আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; ১ বার (মুসলিম);-মেশকাত-২/৫৯১। উক্ত হাদিসে ‘সালাত ঘুম হতে উত্তম’ অংশটি নেই। (আবূ দাঊদ);-মেশকাত-২/৫৯৪ নং হাদিসে ‘সালাত (প্রার্থনা) ঘুম হতে উত্তম’ অংশটি আছে। ‘রাসূল আযান শিক্ষা দিয়েছিলেন ১৯ বাক্যে এবং এক্কামত ১৭ বাক্যে (আহ্মদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসাঈ, দারেমী ও ইবনু মাযাহ);- মেশকাত-২/৫৯৩। ‘রাসূলের সময় আযান দুই দুই বার এবং এক্কামত এক এক বার ছিুল। কিন্তু ‘ক্বাদ্ক্বামাতিচ্ছাত’-কে মুয়াজ্জিন দুইবার বলতেন (আবু দাঊদ, নাসাঈ ও দারেমী);-মেশকাত-২/৫৯২। [মেশকাত-২/৫৯১, ৫৯৩ ও ৫৯৪ নং (মুসলিম সহ মোট ৭টি) হাদিসে আযানের বাক্য ১৯টি। আল্লাহ্ বলেন, ‘যারা কুফরি করে তারা বাতিলের (মিথ্যার) অনুসরণ করে এবং যারা ঈমান আনে তারা তাদের রব প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে (৪৭:৩)। বর্তমান মুসলিম বিশ্বে আযান ১৫ বাক্যে, ফজরের আযান ১৭ বাক্যে অর্থাৎ কোন আযানই ১৯ বাক্যে হচ্ছে না। আর ১৫টি বাক্যের মধ্যে ১৪টিই মানব রচিত। শ্রদ্ধেয় ইমামগণ! আমরা কি কুরআনের আযান বাদ দিয়ে হাদিস বিকৃত আযানের অনুসরণ করব?]

‘যারা কুরআন বিরোধী হাদিস মানেন দয়া করে তারা কোন মন্তব্য করবেন না। যদি মন্তব্য করতেই হয় তবে  ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থে ২৫২ টি কুরআন বিরোধী বিষয়ের হাদিস পড়ার পর মন্তব্য করুন। বই¬টি পড়ুন এবং www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

Comments

Popular Posts