কুরআনে বর্ণিত নবির শত্রু-শয়তান, পুস্তুকবহণকারী গাধা,

কা‘বাসহ বিশ্বের ২০ কোটি মসজিদের ইমামই কি কুরআনে বর্ণিত নবির শত্রু-শয়তান, পুস্তুকবহণকারী গাধা, হাঁপানো কুকুর, পশুর মত বা চিহ্নিত কাফির? কারণ তাঁরা তো কুরআনের কোন আইনই মানেন না!

১. নবীর শত্রু- শয়তানঃ আর এরূপে আমরা মানব ও জিনের মধ্যে হতে শয়তানদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তারা একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে। যদি তোমার রব ইচ্ছা করতেন তবে তারা এ করতে পারত না। সুতরাং তাদের ও তাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন কর (সূরা-৬, আন‘আম, আয়াত- ১১২)। [উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহর নাম দিয়ে কোন বই রচনা করলে সে হয় নবীর শত্রু- শয়তান এবং তাদের লেখা মানব রচিত সকল গ্রন্থ বর্জনীয়।]

২. পুস্তকবাহনকারী গাধাঃ ‘যাদেরকে তাওরাতের (কুরআনের) দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বহন করে নি, তাদের দৃষ্টান্ত পুস্তকবহনকারী গর্দভ। কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত যারা আল্লহর আয়াত অস্বীকার করে (সূরা-৬২, জুমু‘আ, আয়াত-৫)।[উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে, দীন হিসেবে কুরআন বাদ দিয়ে বহু গ্রন্থের অনুসরণ কারীরাই পুস্তকবহনকারী গর্দভ।]

৩. হাঁপানো কুকুরঃ ‘আমি (আল্লাহ্) ইচ্ছা করলে এ (কুরআন) দ্বারা তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করতাম, কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ে ও তার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে। তার অবস্থা কুকুরের ন্যায়, তার ওপর তুমি বোঝা চাপালে সে হাঁপাতে থাকে এবং তুমি বোঝা না চাপালেও হাঁপায়। যে সম্প্রদায় আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের অবস্থাও এরূপ, তুমি বৃত্তান্ত বিবৃত কর যাতে তারা চিন্তা করে(সূরা-৭, আরাফ, আয়াত-১৭৬)।[উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে, দীন হিসেবে কুরআন বাদ দিয়ে বহু গ্রন্থের অনুসরণ কারীরাই হাঁপানো কুকুর।]

৪. পশুর মতঃ / অধিক বিভ্রান্তঃ আমি তো বহু জিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি; তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তদ্দ্বারা তারা উপলব্ধি করে না, তাদের চক্ষু আছে তদ্দ্বারা দেখে না এবং তাদের কর্ণ আছে তদ্দ্বারা শ্রবণ করে না; তারা পশুর মত, বরং তারা অধিক বিভ্রান্ত। তারাই অমনোযোগী।(সূরা-৭, আরাফ, আয়াত-১৭৯)।[জাহান্নামে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জাহান্নামীরা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তা হলে আমরা জাহান্নামবাসী হতাম না। সূরা-৬৭, মুলক, আয়াত-১০।]

কাফির / নাস্তিক কারা?
১. ‘আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেই না তারাই কাফির (সূরা-৫, মায়িদা, আয়াত-৪৪)। ‘কেবল কাফিররাই আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে (সেূরা-২৯, ‘আনকাবুত, আয়াত-৪৭)। [কাফির মানে নাস্তিক। উপরোক্ত আয়াত অনুসারে ‘আল্লাহর কিতাব অনুসারে বিধান না দিলে কাফির / নাস্তিক।]

২. ‘যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে ও তাঁর রাসূলদেরকেও এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মধ্যে (ঈমানের ব্যাপারে) তারতম্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতক বিশ্বাস করি ও কতক অবিশ্বাস করি’ আর তারা মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়, তারাই প্রকৃত কাফির (সূরা-৪, নিসা, আয়াতঃ ১৫০-১৫১)। [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে কুরআনের সাথে নিজেদের মনমত কোন বিষয় যোগ করে ধর্ম বানিয়ে নিলেও কাফির!]

৩. ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য— যারা (ইমামের নিকট) যাকাত দেয় না তারা আখিরাতে (বিশ্বাস করে না) কাফির (সূরা-৪১, হা-মীম আস-সাজদাঃ, আয়াতঃ ৬-৭)। আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না (সূরা-১৬, নাহল আয়াত-১০৭)। আর কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থই হয়(সূরা-১৩, রা‘দ, আয়াত-১৪; সূরা-৪০, মু‘মিন, আয়াত-৫০)।

আল্লাহর নামে বই লেখকের শাস্তিঃ ‘সুতরাং দূর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘এ আল্লাহর নিকট হতে। তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-৭৯)।[উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহর নাম দিয়ে ধর্মীয় পুস্তক লিখে বিক্রি করলে শাস্তি।]

‘তবে কি তোমরা কিতাবের (কুরআনের) কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তাদের একমাত্র প্রতিফল দুনিয়ার জীবনে হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে। তারা যা করে আল্লাহ সে সম্বন্ধে অনবহিত নহেন (সূরা: ২, বাকারা, আয়াত-৮৫)।
‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থে দেখানো হয়েছে বিশ্বের মুসলিমদের সকল বিশ্বাস ও ধর্মানুষ্ঠান কুরআন বিরোধী। বইটি পড়ুন এবংwww.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।
.
AmirulIslam

Comments