রিজিকদাতা কেৱল আল্লাহ (সুবাহানাহু ওয়া তা'আলা)

৫০ টি বছর ধরে হায় হুতাশ,
হায় হুতাশ করেছেন-
.
– কিভাবে সংসার চলবে,
– কিভাবে বাচ্চারা বড় হবে,
– কিভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন,
– কিভাবে ছেলের বিয়ে দেবেন,
– কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন,
ব্লা ব্লা ব্লা !!!!
.
.
এতো যে হায় হুতাশ করেছেন একটি বারও কি চিন্তা করেছেন - আপনি এখনো বেঁচে আছেন !! জি আপনাকে আল্লাহ এই ৫০ টি বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এতো হায় হুতাশ না করে ভরসা রাখুন তাঁর প্রতি।
কেননা - আপনাকে ও আপনার পরিবারকে রিজিক দেবার দায়িত্ব যার উপর ভরসাটি তো তাঁরই উপর রাখা উচিত! তাই নয় কি! আপনার চিন্তার কিছুই নেই.....!!!
.
___________
:
:
.
.
‘আর পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।’ (সূরা হুদ, আয়াত : ৬)
:
:
এতো অকৃতজ্ঞের মত হায় হুতাশ না করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন! এভাবে সেভাবে একভাবে জীবন আল্লাহ কাটিয়ে নিচ্ছেন।
এতো ঘাবড়ানোর কিছুই নেই... কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন! আরো অনেক বেশী পাবেন।
ওয়াদা দিচ্ছি পাবেন। কেননা রহমানুর রাহিম আল্লাহ তা'আলা বলেন-
.
.
'যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।' ( সূরা ইবরাহিম : ৭)
:
:
___________
.
ওমুকের কয়টা বাড়ি, তমুকের কয়টা গাড়ি ঐদিকে না তাকিয়ে নিজের চাইতে যে খারাপ অবস্থানে আছেন তার দিকে তাকালে ইন শা আল্লাহ মুখে আর এই বুলি গুলো আসবে না। পৃথিবীতে আল্লাহ সবাইকে পরিমিত রিজিক দিয়েছেন। কাউকে বেশী কাউকে কম।
এই সমীকরন তিনি করেছেন, যাতে পৃথিবীতে বিপর্জয় না সৃষ্টি হয়। অতি আর্থিক অস্বচ্ছলতা যেমন পরীক্ষা, ঠিক তেমন অতি সম্পদও আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি কঠিন পরীক্ষা স্বরূপ !
তবে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা উপলব্ধি হচ্ছে এই, কৃতজ্ঞ অধিকাংশ মানুষ হয় - যারা নিম্নশ্রেনীর! আল্লাহ (সুবাহানাহু ওয়া তা'আলা) সমীকরণ এর মাপকাঠি আমাদের জন্য যেমনটি ভালো তিনি তেমনটিই দিয়েছেন।
.
.
মহান পরম করুনাময় বলেন-
.
.
‘যদি আল্লাহপাক তাঁর (সব) বান্দার রিজিকে প্রাচুর্য দিতেন তাহলে তারা নিঃসন্দেহে জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি করত, (তাই) তিনি পরিমাণ মতো যাকে (যতটুকু) চান তার জন্য (ততটুকু রিজিকই) অবতীর্ণ করেন; অবশ্য তিনি নিজের বান্দাদের (প্রয়োজন) সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অবহিত রয়েছেন, তিনি (তাদের প্রয়োজনের দিকেও) নজর রাখেন।’ (সূরা আশ শুরা : ২৭)
___________
:
:
নির্ভরশীলতা রবের প্রতি বাড়ালে ইন শা আল্লাহ তিনিই আমাদের আশ্চর্য উপকরনে সাজানো জান্নাত উপহার দেবেন। মুমিনদের জন্য আসল সুখ এই পৃথিবীতে নয়। আমরা যতই এই পৃথিবীর মাঝে সুখ খুজে বেড়াই না কেনো; এই পৃথিবী আমাদের আসল গন্তব্য নয়।

সুখ কি? বা শান্তি কোথায় এই নিয়ে আমরা অনেক ভাবি। একদিন ইমাম আহমাদকে তার ছেলে প্রশ্ন করলেন, “বাবা, আমরা কবে শান্তি পাবো?” তিনি উত্তর দিলেন - “জান্নাতে আমাদের প্রথম পদচিহ্নটি রাখার মূহুর্তটি থেকেই।”
:
:
আমাদের আসল আনন্দ হবে অদ্ভুত নিয়ামতে ভরা জান্নাতে।।
রিজিক নিয়ে কথা বলছিলাম...
শেষ অবধি একটি আয়াত ভাবনার খোরাক হিসেবে রেখে যেতে চাই-
:
:
.
‘যদি তিনি তোমাদের জীবিকা সরবরাহ বন্ধ করে দেন, তাহলে (এখানে) এমন (দ্বিতীয়) আর কে আছে যে, তোমাদের (পুনরায়) রিজিক সরবরাহ করতে পারে; বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে রয়েছে।’ (সূরা মুলক : ২১)
:
:
#ভরসা_রাখূন_তাঁর_উপর
#যার_কোন_মৃত্যু_নেই !
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
S. Alambd fb

Comments