কোন সন্তানকে ক্বুরবানী করার জন্য স্বপ্নে দেখেছিলেন? ইছমাঈলকে? নাকি ইছহাক্বকে?

বিছমিল্লাহির রহমানির রহিম।
.
সমস্ত প্রসংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের পালনকর্তা।
.
নবী ইবরাহীম তাঁর কোন সন্তানকে ক্বুরবানী করার জন্য স্বপ্নে দেখেছিলেন? ইছমাঈলকে? নাকি ইছহাক্বকে?
.
আল্লাহ নবী ইবরাহীমকে তাঁর "সুসংবাদকৃত" সন্তানকে ক্বুরবানী করার জন্য স্বপ্ন দেখালেন।
.
২০১০ সালে বিশ্বশান্তি পরিষদের চেয়ারম্যান "দেবনাথ নারায়ন মহেশ্বর" নামের এক হিন্দু লোক হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। ঐ রিট আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন যে, ক্বুরআনের ছুরা ছাফফাতের ১০০ থেকে ১১৩ নং আয়াত অনুযায়ী মুসলমানরা ক্বুরবানীর ব্যপারে যে নবী ইছমাঈলের কথা বলে তাহা সঠিক নয়, ক্বুরআনের ঐ আয়াত অনুযায়ী তাহা হচ্ছে ইছহাক্ব। এই ব্যপারে অনেক প্রতিবাদ হওয়াতে পরে হাইকোর্ট তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করে ছেরে দেয়। তদ্রুপ বর্তমানেও প্রায় সোনাযায় যে নবী ইবরাহীম তাঁর দ্বিতিয় সন্তান ইছহাক্বকেই উৎসর্গ করার জন্যাদিষ্ট হয়েছিলেন।
.
মুসলমানরা দীর্ঘদিন যাবৎ নবী ইবরাহীমের পুত্র ইছমাঈলকে ক্বুরবনী করার কথা জেনে আসলেও বর্তমান সময়ে নবী ইছহাক্বের কথাও শোনাযায়। এমন কি কয়েকদিন আগেও ফেসবুকে ইহা নিয়ে তর্কবিতর্কের শেষ নেই। আল্লাহ নবী ইবরাহীমকে স্বপ্নযোগে আদেশ করলেন যে, তোমার "সুসংবাদকৃত" সন্তানকে ক্বুরবানী করো। ছুরা ছাফফাত আয়াত ১০০ হইতে ১১৩। এই সুসংবাদকৃত সন্তান কে? কেহ কেহ বলেন তিনি নবী ইবরাহীমের প্রথম সন্তান ইছমাঈল, আবার কেহ কেহ বলেন তিনি নবী ইবরাহীমের দ্বিতিয় সন্তান ইছহাক্ব।
.
লক্ষননীয় বিষয় হল এই যে, ছুরা ছাফফাতের ১০০ থেকে ১১৩ নং আয়াত পর্যন্ত ইবরাহীম ও তাঁর "সুসংবাদকৃত" সন্তানের বর্ণনা রয়েছে, এই আয়াতদয়ের মধ্যে আল্লাহ নবী ইবরাহীমের সুসংবাদকৃত সন্তানকে ক্বুরবানী করার কথা বললেও প্রথমে কাহারও নাম উল্লেখ করেন নাই। ১১২ নং আয়াতে সুসংবাদকৃত সন্তানের নাম বলেছেন ইছহাক্ব। কেহ কেহ বলেন যে, এখানে যেহেতু ইছহাক্বের কথা পরে বলাহয়েছে তাই প্রথমে বলা সুসংবাদকৃত সন্তান ইছমাঈলই হবে। কিন্তু এই আয়াতদয়ের মাঝে ইছমাঈল ও অন্য কোন ঘটনার কথাও উল্লেখ নেই। ১১৪ নং আয়াত থেকে আল্লাহ মূছা প্রসঙ্গে চলেযান। তাহলে সেই সুসংবাদকৃত সন্তান কে?
.
আল্লাহ এমন নন যে, ইবরাহীমের ৩ টি সন্তানের মধ্যে একটি সন্তানকে ক্বুরবানী করতে বলবেন অথচ তাহার নাম বলে দেবেন না। তাহলে নবী ইবরাহীম আন্দাজ বা অনুমানের উপর ভিত্তিকরে কাকে ক্বুরবানী করবেন? ৩ টি সন্তানের মধ্যে নিশ্চয়ই তাহার নাম থাকতে হবে। আল্লাহ তাহার নাম বলেও দিয়েছেন, কিন্তু ছুরা ছাফফাতের ১০১ নং আয়াতে সহনশীল বা স্থীরবুদ্ধি সন্তানের সুসংবাদ দিয়ে সাথে সাথে তাঁহার নাম না বলাতে মানুষের মধ্যে আজ এত তর্কবিতর্ক। আল্লাহর কথা এরকমই হয় যেমন-
.
[৬৫:১] (আল্লাহ বলেন)। হে নবী, তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং ইদ্দত গণনা করে...। ছূরা তালাক্ব আয়াত ১। কিন্তু কতদিনে ইদ্দত হয় তাহা ছূরা তালাক্বের ১, ২, ৩ নং আয়াতেও আল্লাহ বলেন নাই। ছুরা তালাক্বের ১ হইতে ৩ নং আয়াত পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় কথা শেষ করেই ৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেদিলেন যে, "ইদ্দত" হয় ৩ মাসে। প্রথম আয়াতে না বললেও ৪ নং আয়াতে সমাধান দিয়েছেন। ক্বুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ এইরকমই বলেছেন। যেমন আল্লাহ আরও বলেন-
.
[২:১৮৩-১৮৫] ছূরা বাক্বারার ১৮৩ এবং ১৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন যে, তোমাদের জন্য ছিয়ামের বিধান দেওয়া হল। ইহা নির্দিষ্ট কয়েকদিন। কিন্তু আল্লাহ এই দুই আয়াতে বলেন নাই যে, ছিয়াম কোন মাসে রাখতে হবে। কিন্তু পরক্ষনেই ১৮৫ নং আয়াতে মাসের নাম উল্লেখ করে বলেদিলেন যে, ছিয়াম রমজান মাসে রাখতে হবে। ক্বুরআন থেকে এরুপ আরও অনেক বিষয় আমরা দেখতে পাই যে, এভাবেই আল্লাহ এক আয়াতের সমাধান দেন অন্য আয়াতে। তদ্রুপ নবী ইবরাহীমকে আল্লাহ যে সন্তানের সুসংবাদ দিয়েছিলেন আমার দেখামতে তাহা ক্বুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ ৮ বার উল্লেখ করেছেন।
.
ছুরা ছাফফাতের ১০২ নং আয়াতে সুসংবাদের কথা বলেই ১১২ নং আয়াতে সেই সুসংবাদকৃত সন্তানের নাম বলে দিলেন ইছহাক্ব। কিন্তু আমরা না বুঝে তাহা নিয়ে শুধু তর্কই করে থাকি। অনেকের ধারনা যে, ছুরা ছাফফাতের ১০২ নং আয়াতে আল্লাহ ইছমাঈলের সুসংবাদ দিলেন এবং তাকেই ক্বুরবানী করার কথা বলেছেন, এবং ১১২ নং আয়াতের সুসংবাদকৃত সন্তান ইছহাক্ব। কিন্তু আল্লাহ তো ইবরাহীমকে ইছমাঈলের সুসংবাদের কথা ক্বুরআনের কোথাও বলেন নাই।
.
তবে আমি কাউকেই দোষারোপ করিনা কারন, আমি যা বুঝলাম তাতে সকলেরই সত্যকে জানার আগ্রহ দেখেছি। কিন্তু ভাষাগত এবং ব্যকরণগত ব্যপারে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে সত্যকে জানার জন্য এইরকম বিষয় নিয়ে যে মুছলিমরা চিন্তাভাবনা ও গবেষনা করেন তাতে আল্লাহ খুশি হন। আর ক্বুরআন তো গবেষনার বিষয়ও বটে।
.
ক্বুরআন থেকে আমারা জানতে পারি যে, আল্লাহ ইবরাহিমকে তিন টি সন্তান দান করেছিলেন। ইছমাঈল, ইছহাক্ব ও ইয়াক্বুব। আল্লাহ ক্বুরআনে বহুবার ইবরাহীম, ইছমাঈল, ইছহাক্ব ও ইয়াক্বুবের কথা বলেছেন। প্রতিবারই আগে ইছমাইল এর কথা বলেই পরে বলেছেন ইছহাক্বের কথা। ইহা থেকে বোঝা যায় যে, নবী ইছমাঈল আগেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাও শেষ বয়ষে -১৪:৩৯।
==============================
.
আগে ইছমাঈল ও পরে ইছহাক্ব এই রকম কিছু আয়াত-
(ক)
[২:১৪০] (আল্লাহ বলেন) তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাদের সন্তানগন ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান ছিলেন? আপনি বলে দিন, তোমরা কি বেশী জানো, না আল্লাহ বেশী জানেন? ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৪০।
(খ)
[২:১৩৬] তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি...। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৩৬।
(গ)
[৩:৮৪] (আল্লাহ বলেন) বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর...। ছূরা আল-ইমরান আয়াত ৮৪।
(ঙ)
[৪:১৬৩] (আল্লাহ বলেন)...আরও অহি পাঠিয়েছি, ইসমাঈল, ইব্রাহীম, ইসহাক, ইয়াকুব, ও তাঁর সন্তাবর্গের প্রতি...। ছূরা নিছা আয়াত ১৬৩।
(চ)
[২:১৩৩] (আল্লাহ বলেন) তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের বললঃ আমার পর তোমরা কার এবাদত করবে? তারা বললো, আমরা তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের এবাদত করব। তিনি একক উপাস্য। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৩৩।
(ছ)
[১৪:৩৯] (ইবরাহীম বললেন)...সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাকে এই বার্ধক্যে ইসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন...। ছূরা ইবরাহীম আয়াত ৩৯।
.
উপরক্ত কয়েকটি আয়াত দিয়ে প্রমান হয় যে, আল্লাহ আল্লাহর সিরিয়াল অনুসারে আগে ইছমাঈল ও পরে ইছহাক্বের কথা বলেছেন। আল্লাহর কথা অনুসারে ইছহাক্ব ছোট থাকাতে কোন কাজকর্ম করতেন না, কিন্তু ইছমাঈল কাজকর্ম করতেন।
==============================
.
( ইবরাহীম ও তাঁর সন্তান ইছমাঈল ক্বাবা ঘড় পবিত্র বা পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে দায়ীত্বে ছিলেন। আল্লাহ বলেন)
(A)
[২:১২৫]...আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারী ও রুকূকারী-সিজদাকারীদের জন্য পরিচ্ছন্ন বা পবিত্র রাখো। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১২৫। (ইহা থেকে বোঝা যায় যে ইছমাঈল পূর্বে থেকেই ছিলেন এবং পিতার সঙ্গে কাজকর্ম করতেন। কিন্তু ইছহাক্ব কাজকর্ম করতেন না। তবে কেবল কাজ করার মত বা পিতার সাথে চলাফেরা করার মত বয়ষে উপনীত হয়েছিলেন ৩৭:১০২)।
.
(আল্লাহ বলেন)
(B)
[২:১২৭] (ইবরাহীম ও তাঁর সন্তান ইছমাঈল ক্বাবা ঘড়ের প্রাচীর বা ভিত্তি স্থাপনের সময় আল্লাহর নিকট দোয়া করে বলেছিলেন যে,) রবঃ আমাদের কাছ থেকে এ কাজ টুকু আপনি কবুল করুন। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১২৭। (এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, ইছমাইল কাজ করতেন। এবং ইছহাক্ব পিতার সাথে চলাফেরা করার মত বয়সে কেবল উপনীত হলেন ৩৭:১০২)।

(আল্লাহ বলেন)
(C)
[২:১২৮] (ইবরাহীম ও তাঁর সন্তান ইছমাঈল উভয়ে মিলে আল্লাহকে বলেছিলেন) রবঃ আমাদের উভয়কে (মুছলিমাইনি) তোমার একান্ত অনুগত কর এবং আমাদের বংশের মধ্যথকেও। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১২৮। (এখানেও বোঝাযাচ্ছে যে ইবরাহীমের সাথে ইছমাইল আগে থেকেই ছিল এবং উভয়ে তাদের পরবর্তিদের জন্য দোয়া করলেন। এই পরবর্তি কারা? এই পরবর্তিরা হচ্ছে "ইছহাক্ব, ইয়াকুব, ও তাদের পরবর্তিগন)।
.
(আল্লাহ বলেন)
(D-1)
[১৪:৩৭] (ইবরাহীম বলেছিলে) হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি;...। ছূরা ইবরাহীম আয়াত ৩৭। (এটা মা'রেফুল ক্বুরআনের ভূল অনুবাদ। অন্যন্য অনুবাদের সাথে মা'রেফুল ক্বুরআন ও তাইছিরুল ক্বুরআনের অনুবাদ মেলেনা। কারন, "জুররিয়্যাত" অর্থ বংশ বা বংশধর। "নিজের এক সন্তানকে" নির্দিষ্টকরে বলা আর "বংশধরদের কতককে" বলা কখোনো এক হয় না, "বংশধরদের কতককে" এটা বহুবচন। এ বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য আরও কয়েকটি অনুবাদও লক্ষকরা যেতে পারে)। যেমন-
.
(আল্লাহ বলেন)
(D-2)
[১৪:৩৭] 'হে আমাদের রাব্ব! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র গৃহের নিকট। হে আমাদের রাব্ব! এ জন্য যে, তারা যেন সালাত কায়েম করে; সুতরাং আপনি কিছু লোকের অন্তর ওদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং ফলফলাদি দ্বারা তাদের রিয্কের ব্যবস্থা করুন যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ছূরা ইবরাহীম আয়াত ৩৭। (মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমান এর অনুবাদ)
.
(D-3)
[১৪:৩৭] অর্থঃ "হে আমাদের প্রভু! আমি নিশ্চয়ই আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম তোমার পবিত্র গৃহের নিকটে চাষ-বাসহীন উপত্যকায়, হে আমাদের প্রভু! যেন তারা নামায কায়েম করে, সেজন্যে কিছু লোকের মন তাদের প্রতি অনুরাগী বানিয়ে দাও, আর তাদের ফল ফসল দিয়ে জীবিকা প্রদান করুন, যেন তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ছূরা ইবরাহীম আয়াত ৩৭। (জহুরুল হক এর অনুবাদ)।
.
(D-4)
[১৪:৩৭] (ইবরাহীম বললেন) 'হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার বংশের কতককে বা  আমার কিছু-(ذُرِّيَّتِي)-"জুররিয়্যাত"কে/ "offspring"/ "descendants" বা বংশধরদেরকে ফসলহীন উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে। সুতরাং আপনি কিছু মানুষের হৃদয় তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদেরকে রিয্ক প্রদান করুন ফল-ফলাদি থেকে, আশা করা যায় তারা শুকরিয়া আদায় করবে। ছূরা ইবরাহীম আয়াত ৩৭। (আল-বায়ান ফাউন্ডেশন এর অনুবাদ)।
.
(এখানে ৪ টি অনুবাদ দেওয়ার কারন এই যে, ফেসবুকের বেশিরভাগ বন্দুরা "মা'রেফুল ক্বুরআনের অনুবাদ পড়েন এবং আমি নিজেও মাঝে মধ্যে পড়ি। তারা আমার সাথে তর্ককরবেন এইবলে যে, ইবরাহীম শুধু "ইছমাঈলকেই" সেখানে রেখে গিয়েছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহ বেশিরভাগ অনুবাদেই "বংশ" বা বংশধর বলা হয়েছে)।
.
(এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, কিছু "জুররিয়্যাত" অর্থাৎ ইবরাহীমের কিছু বংশ  পবিত্র গৃহের নিকট রেখে ইবরাহীম অন্যত্র চলেযান। হয়ত সেটা হতেপারে তাঁর স্ত্রী এবং প্রথম সন্তান ইছমাঈল ও অন্যন্য কেহ। কারন, আল্লাহ বলেন ইবরাহীম অন্যত্র চলেযান। আর অন্যত্র চলেগেলে জীবন পরিচালার ক্ষেত্রে তাঁকে পুনরায় বিবাহ করারও প্রয়োজনও হতেপারে)।
.
(ইবরাহীম অন্যত্র চলে যাওয়ার বিষয়ে আল্লাহ বলেনঃ)
[১৯:৪৯] অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে এবং তারা আল্লাহ ব্যতীত যাদের এবাদত করত, তাদের সবাইকে পরিত্যাগ করলেন, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং প্রত্যেককে নবী করলাম। ছূরা মার'ইয়াম আয়াত ৪৯।
.
উপরের আয়াতে বোঝার বিষয় হলো ইবরাহীম অন্যত্র চলে যাওয়ার পরে আল্লাহ ইবরাহীমকে "ইছহাককে দান করলেন। এখানে ইছমাঈল নেই। এখানে ইছমাঈল না থাকার কারন হচ্ছে ইছমাইল সহ কিছু "জুররিয়্যাত" পবিত্র গৃহের নিকটে রেখে চলেযান। ক্বুরআনের এই বিষয়গুলির সাথে বিকৃত ইঞ্জিল ও তাওরাতেরও কিছু মিল পাওয়া যায়। যেমন, ইঞ্জিল ও তাওরাতের ভাষ্যমতে ইবরাহীমের দুটি স্ত্রী ছিল Hagor বা হাজেরার গর্ভে ইছমাঈল, এবং Sarah বা সারার গর্ভে ইছহাক্ব ও ইয়াক্বুব। কাজেই দ্বিতিয় স্ত্রী বন্ধ্যা (৫১:২৯) থাকাতে ঐ স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসার জন্য ইবরাহীম প্রার্থনা করতেই পারেন।
.
(আল্লাহ আবারও বললেন যে, ইবরাহীম অন্যত্র চলেগেলেন)
[২৯:২৬] অতঃপর তার প্রতি (ইবরাহীমের প্রতি) লূত বিশ্বাস স্থাপন করলেন।  ইব্রাহীম বললেন, আমি আমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করছি। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (২৬ নং আয়াতে দেশ ত্যাগের কথা বলেই আল্লাহ ২৭ নং আয়াতে বললেন-)
[২৯:২৭] আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব, তাঁর বংশধরদের মধ্যে নবুওয়ত ও কিতাব রাখলাম এবং দুনিয়াতে তাঁকে পুরস্কৃত করলাম। নিশ্চয় পরকালেও সে সৎলোকদের অন্তর্ভূক্ত হবে। ছূরা আনকাবুত আয়াত ২৬-২৭। (কাজেই ইবরাহীম অন্যত্র চলে যাওয়ার পর বা দেশ ত্যগের পর আল্লাহ তাকে ইছহাক্বকে দান করলেন, তার আগে নয়। ইহা থেকেও বোঝাযায় যে, ইছহাক্বকে দান করার কথা বা ইছহাক্বকে সুসংবাদ দেওয়ার ব্যপারে আল্লাহ বার বার বলেছেন যতটা ইছমাঈলের ব্যপারে বলেন নাই। কাজেই সুসংবাদকৃত সন্তান ইছহাক্ব)।
.
(ইবরাহীম সন্তানের জন্য প্রার্থনা করলেন)
[৩৭:১০০] হে আমার রব, আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন। ছুরা ছাফফাত আয়াত ১০০।
(আল্লাহ বললেন)
[৩৭:১০১] সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের বা এক স্থিরবুদ্ধিসম্পন্ন পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। ছুরা ছাফফাত আয়াত ১০০-১০১। (ইছমাঈলের সুসংবাদের কথা আল্লাহ ক্বুরআনে একবারও বলেন নাই। কিন্তু এই সহনশীল পুত্র বা স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদের কথা আল্লাহ ক্বুরআনের বিভিন্ন স্থানে বহুবার আগেই বর্ণনা করেছেন। যথা-
==============================
.
বর্ণনা (১)
(সুসংবাদের আয়াত, আল্লাহ বলেন)
[১১:৬৯] আর অবশ্যই আমার প্রেরিত ফেরেশতারা যখন ইব্রাহীমেরে কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল তারা বলল সালাম, তিনিও বললেন-সালাম। অতঃপর অল্পক্ষণের মধ্যেই তিনি একটি ভুনা করা বাছুর নিয়ে এলেন। (এই আয়াতে সুসংবাদ, নং (১)।
.
[১১:৭০] কিন্তু যখন দেখলেন যে, আহার্য্যের দিকে তাদের হস্ত প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তিনি সন্ধিগ্ধ হলেন এবং মনে মনে তাঁদের সম্পর্কে ভয় অনুভব করতে লাগলেন। তারা বলল-ভয় পাবেন না। আমরা লূতের কওমের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
.
[১১:৭১] তাঁর স্ত্রীও নিকটেই দাড়িয়েছিল, সে হেসে ফেলল। অতঃপর আমি তাকে ইসহাকের জন্মের সুসংবা দিলাম এবং ইসহাকের পরের ইয়াকুবেরও। (অর্থাৎ আগে ইছহাক্ব আসবে পরে কোনো এক সময় ইয়াক্বুবও আসবে। এই আয়াতে সুসংবাদ, নং (২)।
.
[১১:৭২] সে বলল-কি দুর্ভাগ্য আমার! আমি সন্তান প্রসব করব? অথচ আমি বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছি আর আমার স্বামীও বৃদ্ধ, এতো ভারী আশ্চর্য কথা।
.
[১১:৭৩] তারা বলল-তুমি আল্লাহর হুকুম সম্পর্কে বিস্ময়বোধ করছ? হে গৃহবাসীরা, তোমাদের উপর আল্লাহর রহমত ও প্রভুত বরকত রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ প্রশংসিত মহিমাময়।
.
[১১:৭৪] অতঃপর যখন ইব্রাহীম এর আতঙ্ক দূর হল এবং তিনি সুসংবাদ প্রাপ্ত হলেন, তখন তিনি আমার সাথে তর্ক শুরু করলেন কওমে লূত সম্পর্কে। ছুরা হুদ আয়াত ৬৯ থেকে ৭৪। (এই আয়াতেও সুদংবাদ, নং (৩)।
==============================
.
বর্ণনা (২)
(আল্লাহ রছুলকে বললেন)
[৫১:২৪] আপনার কাছে ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি?
.
[৫১:২৫] যখন তারা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বললঃ সালাম, তখন সেও বললঃ সালাম। এরা তো অপরিচিত লোক।
.
[৫১:২৬] অতঃপর সে গৃহে গেল এবং একটি ঘৃতেপক্ক (ঘিয়ে ভাঁজা) মোটা বাছুর নিয়ে হাযির হল।
.
[৫১:২৭] সে গোবৎসটি তাদের সামনে রেখে বললঃ তোমরা আহার করছ না কেন?
.
[৫১:২৮] অতঃপর তাদের সম্পর্কে সে মনে মনে ভীত হলঃ তারা বললঃ ভীত হবেন না। তারা তাঁকে একটি জ্ঞানীগুণী পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল। (এই আয়াতেও সুসংবাদ, নং (৩)
.
[৫১:২৯] অতঃপর তাঁর স্ত্রী চীৎকার করতে করতে সামনে এল এবং মুখ চাপড়িয়ে বললঃ আমি তো বৃদ্ধা, বন্ধ্যা।
.
[৫১:৩০] তারা বললঃ তোমার পালনকর্তা এরূপই বলেছেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। ছূরা জারিয়াত আয়াত ২৪ থেকে ৩০।
==============================
.
বর্ণনা (৩)
(আল্লাহ রছুলকে বললেন)
[১৫:৫১] আপনি তাদেরকে ইব্রাহীমের মেহমানদের অবস্থা শুনিয়ে দিন।
.
[১৫:৫২] যখন তারা তাঁর গৃহে আগমন করল এবং বললঃ সালাম। তিনি বললেনঃ আমরা তোমাদের ব্যাপারে ভীত।
.
[১৫:৫৩] তারা বললঃ ভয় করবেন না। আমরা আপনাকে একজন জ্ঞানবান-সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি। (এই আয়াতেও সুসংবাদ, নং (৫)।
.
[১৫:৫৪] তিনি বললেনঃ তোমরা কি আমাকে এমতাবস্থায় সুসংবাদ দিচ্ছ, যখন আমি বার্ধক্যে পৌছে গেছি ? এই আয়াতেও সুসংবাদ, নং (৬)।
.
[১৫:৫৪] তারা বললঃ আমরা আপনাকে সত্য সু-সংবাদ দিচ্ছি! অতএব আপনি নিরাশ হবেন না। (এই আয়াতেও সুসংবাদ, নং (৭)।
.
[১৫:৫৬] তিনি বললেনঃ পালনকর্তার রহমত থেকে পথভ্রষ্টরা ছাড়া কে নিরাশ হয় ?
.
[১৫:৫৭] তিনি বললেনঃ অতঃপর তোমাদের প্রধান উদ্দেশ্য কি হে আল্লাহর প্রেরিতগণ ?
.
[১৫:৫৮] তারা বললঃ আমরা একটি অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। ছূরা হিজর আয়াত ৫১ থেকে ৫৮।
.
==============================
বর্ণনা (৪)
[২৯:৩১] যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা জালেম। ছূরা আনকাবূত আয়াত ৩১। এই আয়াতেও সুসংবাদ, নং (৮)।
.
(আমার দেখামতে আমি ক্বুরআনুন কারিমে ইছহাক্বের সুসংবাদের কথা ৮ টি স্থানে পেয়েছি, তবে আরও থাকতে পারে নাও থাকতে পারে)।
==============================
.
(ইছমাঈল সম্পর্কিত কিছু আয়াত যাহাতে ইছহাক্ব ও ইয়াক্বুব এর নাম নাই, ইহাতে চিন্তার বিষয় আছে। কলেবর বৃদ্ধির কারনে অনেক কিছুই লেখা হয়না)।
.
[১৯:৫৪] (আল্লাহ বলেন) এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা বর্ণনা করুন, তিনি প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং তিনি ছিলেন রসূল, নবী। ছূরা মার'ইয়াম আয়াত ৫৪।
.
[২১:৮৫] এবং ইসমাঈল, দ্রীস ও যুলকিফলের কথা স্মরণ করুন, তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন সবরকারী। ছূরা আম্বিয়া আয়াত ৮৫।
.
[৩৮:৪৮] স্মরণ করুণ, ইসমাঈল, আল ইয়াসা ও যুলকিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই গুনীজন। ছূরা ছোয়াদ আয়াত ৪৮।
==============================
.
(ইবরাহীম ও ইছহাক্ব সম্পর্কিত কিছু আয়াত, যাহাতে ইছমাঈল এর নাম নাই। এই আয়াতদয়ের মাঝে ইছমাঈল না থাকার পিছনে কিছু নিদর্শন থাকতে পারে। যেমন ইছহাক্ব ও ইছহাক্বের পরবর্তি ইয়ক্বুব। ইয়াক্বুবের বংশ থেকে ইউছুফ)
.
[১২:৩৮] (ইউছুফ বললেন) আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি...। ছূরা ইউছুফ আয়াত ৩৮।
.
[১২:৬] (আল্লাহ ইউছুফকে বললেন) এমনিভাবে তোমার পালনকর্তা তোমাকে মনোনীত করবেন এবং তোমাকে বাণীসমূহের নিগুঢ় তত্ত্ব শিক্ষা দেবেন এবং পূর্ণ করবেন স্বীয় অনুগ্রহ তোমার প্রতি ও ইয়াকুব পরিবার-পরিজনের প্রতি; যেমন ইতিপূর্বে তোমার পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম ও ইসহাকের প্রতি পূর্ণ করেছেন। নিশ্চয় তোমার পালনকর্তা অত্যন্ত জ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। ছূরা ইউছুফ আয়াত ৬।
.
[২১:৭২] আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ("নাফিলাতান"/নফল/অতিরিক্ত) পুরস্কার স্বরূপ দান করলাম ইয়াকুবকে এবং প্রত্যেককেই সৎকর্ম পরায়ণ করলাম। ছূরা আম্বিয়া আয়াত ৭২। (আল্লাহ ইছহাক্বকে দান করার কথা বললেন, আর ইয়াক্বুব তো নফল/অতিরিক্ত)।
.
[২৯:২৭] আমি তাকে (ইবরাহীমকে) দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব, তাঁর বংশধরদের মধ্যে নবুওয়ত ও কিতাব রাখলাম এবং দুনিয়াতে তাঁকে পুরস্কৃত করলাম। নিশ্চয় পরকালেও সে সৎলোকদর অন্তর্ভূক্ত হবে। ছূরা আনকাবূত আয়াত ২৭। (আল্লাহ ইছহাক্বকে দান করার কথা বললেন)
.
[৬:৮৪] আমি তাঁকে দান করেছি ইসহাক এবং এয়াকুব। প্রত্যেককেই আমি পথ প্রদর্শন করেছি এবং পূর্বে আমি নূহকে পথ প্রদর্শন করেছি-...। ছূরা আন'আম আয়াত ৮৪। (আল্লাহ ইছহাক্বকে দান করার কথা বললেন)।
.
[৩৮:৪৫] স্মরণ করুন, হাত ও চোখের অধিকারী আমার বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা। ছূরা ছোয়াদ আয়াত ৪৫।
.
বৃদ্ধ বয়ষে বন্ধ্যা স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তানের সুংবাদ দেওয়া হলো, স্ত্রী বন্ধ্যা থাকাতে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে যাকে পাওয়া গেলো এবং আল্লাহর পক্ষথেকে যার মধ্যে ধর্য ধারন করার ক্ষমতা দিলেন তাকে ক্বুরবানী বা উৎসর্গ করার জন্যই আল্লাহ ইবরাহীমকে পরিক্ষায় ফেলেছিলেন।
==============================
.
(নবী ইবরাহীম সন্তানের জন্য আল্লাহর নিকট যেভাবে প্রার্থনা করলেন, আল্লাহ তাহা বলেন)
[৩৭:১০০] হে আমার পালনকর্তা! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন।
.
(আল্লাহ বললেন)
[৩৭:১০১] সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল/স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।
.
[৩৭:১০২] অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি? সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। ইনশা-আল্লাহ আপনি আমাকে ধর্যশীল পাবেন।
.
[৩৭:১০৩] যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে কাত/শায়িত করল।
.
[৩৭:১০৪] তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
.
[৩৭:১০৫] তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
.
[৩৭:১০৬] নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
.
[৩৭:১০৭] আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
.
[৩৭:১০৮] আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
.
[৩৭:১০৯] ইব্রাহীমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
.
[৩৭:১১০] এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
.
[৩৭:১১১] সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।
.
[৩৭:১১২] অর্থাৎ আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলাম ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী। (আরবী ডিক্সনারী মতে আরবী অক্ষর "ওয়াও" এর অর্থ হয়- এবং, আর, ও, অর্থাৎ)।
.
[৩৭:১১৩] তাকে (ইবরাহীমকে) এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।
.
[৩৭:১১৪] আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি...। ছূরা ছাফফাত আয়াত ১০০ হইতে ১১৪।
==============================
.
উপরক্ত প্রমানের ভিত্তিতে নবী ইবরাহীম তাঁর কোন সন্তানকে উৎসর্গ করার জন্য স্বপ্নে আদিষ্ঠ হয়েছিলেন তাহা জ্ঞানীগন বিবেচনা করুন। এ বিষয়গুলি নিয়ে কিয়ামতে আল্লাহ আমাদেরকে প্রশ্ন করবেন না। আমাদেরকে প্রশ্ন করাহবে যে, কে কিপরিমান সৎকর্ম করতে পেরেছি। তবুও এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠাতে আমার এই লেখা। মানুষ ভুলের উর্ধে নয়। সমস্ত প্রসংসা জগত সমূহের রব আল্লাহরই জন্যে, যিনি মানুষ সৃষ্টি করে ন্যায়-অন্যায় বোঝার তৌফিক দান করেছেন। সমাপ্ত।
=========================
courtesy
A.B.Kamalbd

Comments

Popular Posts