Identity of Quran
আল ক্বুরআনে -ক্বুরআনের পরিচয়।
আল ক্বুরআনুল কারীম-ই পূর্ণাঙ্গ, পরিপূর্ণ, যথেষ্ট, পূর্ণবিবৃত, বিস্তারিত, ব্যাখ্যাকৃত, সন্দেহমুক্ত, কন্টকমুক্ত,বক্রতামুক্ত, সর্বন্যায়নিষ্ঠ, সর্বস্বচ্ছ, সর্বসুন্দর, বলিষ্ঠ, সকল কিছুর বর্ণনা সম্বলিত এবং সামগ্রীক ব্যাখ্যাসহ অবতীর্ণ তথা মানবজীবনের সকল যুগের সকল স্তরের সয়ংক্রিয়, কার্যকরী, প্রাণবন্ত, চিরস্থায়ী, সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক সমাধান গ্রন্থ ও একক, একমাত্র, অবিকল্প সংবিধান।
আল কুরআনুল কারীমের আলোকে আল কুরআনুল কারিমের পরিচয় নিম্নরূপ ;(২৪৬ টি পয়েন্টে লিখব ইনশাআল্লাহ।পড়তে চোখ রাখুন।)
১. কুরআন-ই আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ; ইয়াসিন-৩৬/৫, শুয়ারা-২৬/১৯২, নামল-২৭/৬, ঝুমার-৩৯/১, মুমিন-৪০/১, হামীম সাজদা-৪১/২।
কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ,
২. কুরআন-ই আল্লাহর নাযিলকৃত অহী যা রসূল (সঃ)-এর মুখ দিয়ে প্রকাশিত; আনয়াম-৬/১৯, নাজম-৫৩/৩,৪।
৩.কুরআন-ই হচ্ছে আল্লাহর একমাত্র কিতাব ; বাকারাহ-২/২,৪৪,১৫১,১৭৪, ১৭৬,১৭৭,২৩১, ইমরান-৩/৩,৭,৭৮,৭৯,১৬৪, নিসা-৪/৪৪,১০৫,১১৩,১২৭,
১৩৬,১৪০, মায়িদা-৫/৪৮, আনয়াম-৬/৯২, আরাফ-৭/২,৫২,১৯৬, হামীম সাজদা-৪১/৪১।
৪. আল কুরআনুল কারীম সরল, প্রাঞ্জুল, সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে ; ইউসুফ-১২/২, শুয়ারা-২৬/১৯৫, হামীম সাজদা-৪১/৩।
৫. আল কুরআন জিবরাঈল (আঃ) দ্বারা অবতীর্ণ করা হয়েছে ; শুয়ারা-২৬/১৯৩।
৬. কুরআন আল্লাহ রব্বুল আলামীন রসূল (সঃ)-এর অন্তরে/হ্রদয়ে ঢেলে দিয়েছেন/সমাবেশ ঘটিয়েছেন/স্থাপন করে দিয়েছেন ; শুয়ারা-২৬/১৯৪, কিয়ামাহ-৭৫/১৬-১৮।
৭. কুরআনের উল্ল্যেখ পূর্ববর্তী কিতাবসমূহ বিদ্যমান ছিল ; শুয়ারা-২৬/১৯৬।
৮. কুরআন অনারবী ভাষায় নাযিল হয়নি কেন ; শুয়ারা-২৬/১৯৮-২০০,হামীম সাজদা-৪১/৪৪।
৯. কুরআন মুহাম্মাদ (সঃ)এর উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে ; মুহাম্মাদ-৪৭/২।
১০. কুরআন রমাদ্বান মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছে ; বাকারাহ-২/১৮৫।
১১. কুরআন লাইলাতুল ক্বদরে অবতীর্ণ করা হয়েছে ; ক্বদর-৯৭/১।
১২. কুরআন ধীরে ধীরে নাযিল হয়েছে ; দাহর-৭৬/২৩।
১৩. কুরআন নাযিলের রাত বরকতময়, কল্যানময় ; দুখান-৪৪/৩।
১৪. কুরআন নাযিলের রাত হাজার মাসের চেয়েও অনেক অনেক উত্তম ;
ক্বদর-৯৭/৩।
১৫. আল কুরআনুল কারীম পাঠ ফরজ করা হয়েছে ; আলাক-৯৬/১,৩, কাসাস-২৮/৮৫, নূর-২৪/১।
১৬. আল কুরআন পাঠের নির্দেশ ; আনকাবুত-২৯/৪৫, কাহাফ-১৮/২৭।
১৭. আল কুরআন যথাযথভাবে/হক আদায় করে/বুঝে বুঝে পাঠ করতে হবে ; বাকারাহ-২/১২১।
১৮. ওলামা/আলিমদের প্রধান-প্রথম দায়িত্ব কুরআন তথা আল্লাহর কিতাব গভীরভাবে বুঝে/অনুধাবন করে পাঠ করা ; ফাতির-৩৫/২৮,২৯।
১৯. কুরআন পাঠ করে তদানুযায়ী কার্যক্রম/আমলা কার্যপ্রণালী বাস্তবায়ন না করে আত্নভোলা হওয়ার প্রতি আল্লাহর কঠিন ধমক ও ভৎর্সনা ; বাকারাহ-২/৪৪, সাফ্ফ-৬১/২,৩।
২০. কুরআনকে বহন করে অথচ কুরআন পাঠ করত: অনুধাবন করে কার্যকর করে/আমল করে না উপরন্ত মিথ্যায়িত করে তাদেরকে আল্লাহ রব্বুল আলামীন গাধার সাথে উপমা দিয়েছেন ; সাফ্ফ-৬১/৫।
২১. যারা কুরআনের আয়াতদ্বারা সমৃদ্ধি হওয়ার পরও অন্যকিছু তথা দুনিয়ার দিকে ঝুকে যায় তাদের আল্লাহ তায়ালা জিহ্বা বের করা কুকুরের সাথে তুলনা করেছেন ; আরাফ-৭/১৭৫-১৭৭।
২২. যারা কুরআনুম মুবীনের আয়াত/-শিক্ষা ভালভাবে মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে না/বুঝে না/মানে না –তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা সর্বনিকৃষ্ট জীব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ; আনফাল-৮/২২,৫৫, বায়্যিনাহ-৯৮/৬।
২৩. যারা আল্লাহ প্রদত্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে আল্লাহর আয়াত বুঝে না/শুনে না/দেখে না তারা চতুষ্পদ পশুর চেয়েও অধম ও অতিব পথহারা, পথভ্রষ্ট ; আরাফ-৭/১৭৯।
২৪. কুরআন থেমে থেমে, বুঝে বুঝে, ধীরে ধীরে, সুষ্ঠভাবে পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন ; মুঝ্ঝাম্মিল-৭৩/৪, ত্বহা-২০/১১৪, কিয়ামাহ-৭৪/১১।
২৫. কুরআন পাঠের সময় নিরবে, নিশ্চুপ, হয়ে শ্রবণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ; আরাফ-৭/২০৪।
২৬. কাফিরদেরকে কুরআন পাঠ করে শুনালেও তারা তা মানে না ও বিনীত হয় না ; ইনশিক্বাক-৮৪/২১।
২৭. আল কুরআন সরাসরি আল্লাহ-ই শিক্ষা দেন অর্থাৎ আল্লাহ-ই হচ্ছেন কুরআনের শিক্ষক ; আর রহ্মান-৫৫/২, আ’লা-৮৭/৬, ক্বিয়ামাহ-৭৫/১৭।
২৮. কুরআন পাঠে গভীর মনোনিবেশ না করার প্রতি ধমক ; নিসা-৪/৮২, হাদীদ-৫৭/২৪, স্বদ-৩৮/২৯।
২৯. কুরআনুল কারীমের সংরক্ষক স্বয়ং আল্লাহ রব্বুল আলামীন ; হিজর-১৫/৯।
৩০. কুরআন পড়িয়ে, বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আল্লাহর-ই ; ক্বিয়ামাহ-৭৫/১৭।
৩১. কুরআনের বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আল্লাহ রব্বুল আলামীন নিজেই নিজের
উপর আবশ্যক করে নিয়েছেন ; ক্বিয়ামাহ-৭৫/১৯, আর রহ্মান-৫৫/৪।
৩২. কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে ব্যাখ্যাকৃত ও বিশ্লেষিত ; হুদ-১১/১, হামিম
সাজদা-৪১/৩।
৩৩. এই কুরআন-ই একমাত্র ওহী ; শুরা-৪২/৭,৫২, আনয়াম-৬/১৯, ইউসুফ-
১২/৩, বনী ইসরাঈল-১৭/৯।
৩৪. কুরআনের ব্যাখ্যা কুরআন-ই ; বাকারাহ-২/৯৯, আরাফ-৭/৫২, ১৭৪,
আনয়াম-৬/৫৫, ১০৫, ১২৬, হুদ-১১/১, ৬, বনী ইসরাঈল-১৭/১২, ৪১, ৮৯,
কাহাফ-১৮/৫৪।
৩৫. কুরআন দাড়ি কমা সহ ভাগ ভাগ করে পড়ে বুঝার জন্য নাযিল করা
হয়েছে ; বনী ইসরাঈল-১৭/১০৬।
৩৬. কুরআন-ই একমাত্র সর্বোচ্চ সরল, সঠিক প্রদর্শন করে ; বনী ইসরাঈল-
১৭/৯।
৩৭. কুরআন-ই মুত্তাকীদের জন্য হেদায়াত ; বাকারাহ-২/২।
৩৮. এই কুরআন-ই হেদায়া ; জাসিয়া-৪৫/১১।
৩৯. এই কুরআন-ই সর্বোত্তম তাফসীর ; ফুরকান-২৫/৩৩।
৪০. এই কুরআন-ই সব কিছুর সুস্পষ্ট বয়ান ; আল ইমরান-৩/১৩৮, হিজর-
১৫/১, ইয়াসিন-৩৬/৬৯।
৪১. এই কুরআন-ই সব কিছুর বর্ণনা, ব্যাখ্যা ; নাহল-১৬/৮৯।
৪২. এই কুরআন-ই সকলের ইতিহাস ; আম্বিয়া-২১/১০।
৪৩. এই কুরআন-ই সর্বোত্তম হাদীছ ; ঝুমার-৩৯/২৩।
৪৪. এই কুরআন ছাড়া অন্য কোন হাদীছের প্রতি ঈমান আনা যাবে না ;
মুরসালাত-৭৭/৫০, কাহাফ-১৮/৬, জাসিয়া-৪৫/৬, আম্বিয়া-২১/৫০।
৪৫. এই কুরআন-ই তাফছীল যা তাফসীরের সমার্থক শব্দ ; ইউনুস-১০/৩৭,
ইউসুফ-১২/১১১।
৪৬. এই কুরআন-ই একমাত্র সংবিধান ; আল ইমরান-৩/৫৮, আনয়াম-
৬/১৫৫, আম্বিয়া-২১/৫০।
৪৭. এই কুরআন-ই একমাত্র ওয়াজ/মাওয়িজা ; আল ইমরান-৩/১৩৮,
ইউনুস-১০/৫৭।
৪৮. এই কুরআন-ই একমাত্র অন্তরের শিফা ; বনী ইসরাঈল-১৭/৮২, ইউনুস-
১০/৫৭।
৪৯. এই কুরআন-ই মুবারক, বরকতময়, কল্যানময়, মঙ্গলময়, সমৃদ্ধিময় বিধান
; আনয়াম-৬/৯২।
৫০. এই কুরআন-ই সুন্নাহ; আহযাব-৩৩/৩৮, বনী ইসরাঈল-১৭/৭৭, ফাতাহ-
৪৮/২৩।
৫১. এই কুরআন-ই ফিক্হ/ফিকাহ ; বাকারাহ-২/৪৪, আম্বিয়া-২১/১০,
তাওবাহ-৯/১২২।
৫২. এই কুরআন-ই মহা মর্যাদাবান ; ক্বাফ-৫০/১, বুরুজ-৮৫/২১।
৫৩. এই কুরআন-ই লাওহি মাহফুজে ছিল ; ওয়াকিয়াহ-৫৬/৭৭, বুরুজ-
৮৫/২২।
৫৪. এই কুরআন-ই তাসদীক, মুসদ্দিক তথা সকল আসমানী গ্রন্থের
সত্যয়নকারী ও যাচাইকারী ; বাকারাহ-২/৮৯, আল ইমরান-৩/৩, ইউনুস-
১০/৩৭ ।
৫৫. এই কুরআন হল আরবী ভাষায় নাযিলকৃত আল্লাহর একমাত্র সংবিধান/
কুরআনী সংবিধান ; রা’দ-১৩/৩৭।
৫৬. কুরআন-ই হচ্ছে মুহাইমিন বা সংরক্ষণকারী ; মায়িদা-৫/৪৮।
৫৭. কুরআন-ই মুবীন বা সুস্পষ্ট, উম্মুক্ত গ্রন্থ ; আনয়াম-৬/৫৯, ইউসুফ-১২/১,
কাসাস-২৮/২ ।
৫৮. কুরআন-ই এক অতি আশ্চর্য কিতাব ; জ্বিন্ন-৭২/১ ।
৫৯. জ্বিন জাতির কিছু লোক এই কুরআন-ই শ্রবণ করে ; জ্বিন্ন-৭২/১,
আহ্কাফ-৪৬/২৯, ৩০ ।
৬০. কুরআন-ই একমাত্র হক/সত্য/মহাসত্য বিধান ; ঝুমার-৩৯/২ ।
.
Sariful Islam fbfd.
Comments
Post a Comment